ফকরুল চৌধুরী
সমাজ কিংবা মানুষ বিহীন কোন সংস্কৃতি হয় না। পৃথিবীতে মানবজন্মের আগের ও পরের অবস্থার পার্থক্য মূলত একটি সাংস্কৃতিক তফাত। আমাদের কৃষি সমাজ ‘কৃষ্টি’ বা ‘সংস্কৃতি’ শব্দের উদ্ভবগত প্রত্যয়ের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে সামঞ্জস্যপূর্ণ। কৃষি করে পাওয়া কৃষ্ট দ্রব্য অর্থাৎ কৃষ্টি হল মানুষের উদ্ভাবনী ও সৃজনী মনের কার্যকলাপে রূপান্তরিত বস্তু; এ বস্তু অর্জন করতে হয়েছে। পতিত বা প্রকৃতগত জমি চাষাবাদের মাধ্যমে আবাদ করে তবেই ফসল পাওয়া যায়। তেমনি অভিজ্ঞতা, শিক্ষা-দীক্ষা, চর্চা ও পরিশীলনের মাধ্যমে আদিম মানুষ রূপান্তরিত হয়ে সংস্কৃতিবান মানুষ হয়ে ওঠে। এভাবে প্রাকৃতিক ও সাংস্কৃতিক ব্যাপার দুটো আর সমরূপ থাকে না। মানুষের কার্যকলাপের ফলে যে জাতদ্রব্য বেরিয়ে আসে তা আর প্রাকৃতিক থাকে না, তা সাংস্কৃতিক। একদিকে চলছে প্রাকৃতিক ও স্বতঃস্ফূর্ত প্রক্রিয়াগুলো আর অন্যদিকে মানুষের সচেতন, সৃজনশীল ও বাসনানুযায়ী পরিচালিত ক্রিয়াকলাপের দুটো প্রবাহ। প্রাকৃতিক ব্যাপার সমূহ থেকে পৃথক হয়ে মানুষের সৃজনশীল কার্যকলাপের মোট ফলাফলকে আমরা সংস্কৃতি আখ্যায় ভূষিত করে থাকি।
সমাজ কিংবা মানুষ বিহীন কোন সংস্কৃতি হয় না। পৃথিবীতে মানবজন্মের আগের ও পরের অবস্থার পার্থক্য মূলত একটি সাংস্কৃতিক তফাত। আমাদের কৃষি সমাজ ‘কৃষ্টি’ বা ‘সংস্কৃতি’ শব্দের উদ্ভবগত প্রত্যয়ের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে সামঞ্জস্যপূর্ণ। কৃষি করে পাওয়া কৃষ্ট দ্রব্য অর্থাৎ কৃষ্টি হল মানুষের উদ্ভাবনী ও সৃজনী মনের কার্যকলাপে রূপান্তরিত বস্তু; এ বস্তু অর্জন করতে হয়েছে। পতিত বা প্রকৃতগত জমি চাষাবাদের মাধ্যমে আবাদ করে তবেই ফসল পাওয়া যায়। তেমনি অভিজ্ঞতা, শিক্ষা-দীক্ষা, চর্চা ও পরিশীলনের মাধ্যমে আদিম মানুষ রূপান্তরিত হয়ে সংস্কৃতিবান মানুষ হয়ে ওঠে। এভাবে প্রাকৃতিক ও সাংস্কৃতিক ব্যাপার দুটো আর সমরূপ থাকে না। মানুষের কার্যকলাপের ফলে যে জাতদ্রব্য বেরিয়ে আসে তা আর প্রাকৃতিক থাকে না, তা সাংস্কৃতিক। একদিকে চলছে প্রাকৃতিক ও স্বতঃস্ফূর্ত প্রক্রিয়াগুলো আর অন্যদিকে মানুষের সচেতন, সৃজনশীল ও বাসনানুযায়ী পরিচালিত ক্রিয়াকলাপের দুটো প্রবাহ। প্রাকৃতিক ব্যাপার সমূহ থেকে পৃথক হয়ে মানুষের সৃজনশীল কার্যকলাপের মোট ফলাফলকে আমরা সংস্কৃতি আখ্যায় ভূষিত করে থাকি।