Friday, February 27, 2015

নিম্নবর্গের ইতিহাস চর্চা ও ইতিহাস চর্চার গতিমুখ

আজিজুল রাসেল

১৯৮২ সালে প্রথম যখন নিম্নবর্গের ইতিহাস সংকলন বের হয়, তখন সারস্বত সমাজে আলোচনা-সমালোচনার ঢেউ বয়ে যায়। আলোচনা যত হয়েছিল, সমালোচনা হয়েছিল এর কয়েকগুন বেশি। পণ্ডিতমহলে নিম্নবর্গের ইতিহাস চর্চার পদ্ধতি নিয়েও কম কথা ওঠেনি। সমালোচনা এসেছিল জ্ঞান চর্চার সব মার্গ থেকেই। ইতিহাস চর্চার সাম্রাজ্যবাদী ঘরানা যেমন এর কড়া সমালোচনা করেছিল, জাতীয়তাবাদী ঘরানাও সেই একই কাজ করে। এমনকি কট্টর মাকসবাদীরাও নিম্নবর্গের ইতিহাস চর্চাকে ভালো চোখে নেয়নি। তবে একটি কথা কোনভাবেই অস্বীকার করা যাবে না যে, নিম্নবর্গের ইতিহাস ইতিহাস তত্ত্বে ও চর্চায় একটি বড় পরিবর্তন এনেছে। প্রথাগত ইতিহাস চর্চার ধারায় একটি বড় ধাক্কা দেয় নিš§বর্গের ইতিহাস চর্চাগোষ্ঠী; পূর্ববর্তী ইতিহাস চর্চার সব ঘরানার আবির্ভাব পাশ্চাত্য থেকে। পাশ্চাত্যের তথ্যেই বিশ্বজুড়ে নির্মিত হত ইতিহাস। নিম্নবর্গের ইতিহাস সেক্ষেত্রে পাশ্চাত্যের ইতিহাস তত্ত্বের জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দেয়।

Monday, February 23, 2015

‘বাংলা ভাষা আরও সমৃদ্ধ হবে’

সাক্ষাৎকার


ভাষাসৈনিক আবু জায়েদ শিকদার
ভাষাসৈনিক আবু জায়েদ শিকদার। ১৯৫২-এর ২১ ফেব্রুয়ারি ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করে প্রথম যে ১০ জন মিছিল নিয়ে বের হন তিনি ছিলেন তাদের মধ্যে অন্যতম। পরিণতিতে ৩৯ দিন জেল খাটতে হয়। তখন তিনি গণিতে এমএসসি পার্ট-২-এর ছাত্র। থাকতেন ভাষা আন্দোলনের সূতিকাগার ফজলুল হক মুসলিম হলে। পাস করে প্রায় এক যুগ বিভিন্ন কলেজে শিক্ষকতা করেন। পরে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পরীক্ষানিয়ন্ত্রক হিসেবে যোগ দেন। গণিত ও প্রশাসনিক পরিভাষা নিয়ে তিনি কিছু গুরুত্বপূর্ণ কাজ করেছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় ৩৪ বছরের বর্ণাঢ্য কর্মজীবন শেষে বর্তমানে তিনি অবসর যাপন করছেন। ভাষা আন্দোলনের প্রেক্ষাপট, গতিবিধি ও বাংলা ভাষা নিয়ে তিনি আলোকিত বাংলাদেশের সঙ্গে কথা বলেন। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন ফকরুল চৌধুরী

Thursday, February 19, 2015

উত্তর-ঔপনিবেশিক সমাজে প্রাচ্যতত্ত্বের নবায়ন প্রসঙ্গ

প্রাচ্যতত্ত্ব ও উত্তর-ঔপনিবেশিক সমাজ
লেখক : ফকরুল চৌধুরী
ফেরদৌস মাহমুদ 

ফকরুল চৌধুরী মূলত কথাসাহিত্যিক হলেও উত্তর-ঔপনিবেশিক পরিস্থিতি নিয়ে বেশ কিছু কাজ ও লেখালেখি করেছেন। সিভিল সোসাইটি নিয়ে তার একটি সমৃদ্ধ সম্পাদনা গ্রন্থ রয়েছে। সম্প্রতি প্রকাশিত হয়েছে তার প্রবন্ধগ্রন্থ ‘প্রাচ্যতত্ত্ব ও উত্তর-ঔপনিবেশিক সমাজ’। এই বইয়ে মোট ১২ টি প্রবন্ধ রয়েছে। দিনের পর দিন ফকরুল চৌধুরী নানা বিষয়ের পাশাপাশি প্রাচ্যতত্ত্ব ও ঔপনিবেশবাদ নিয়ে যে অধ্যয়ন, অনুশীলন ও গবেষণা করেছেন, বলা যায় প্রবন্ধগুলি তারই চুম্বক অংশ। এক্ষেত্রে পাঠজাত চিন্তার পাশাপাশি নিজস্ব চিন্তার মিলন ঘটিয়ে ফকরুল চৌধুরী প্রবন্ধগুলি রচনা করেছেন। কিন্তু বইটির নাম ‘প্রাচ্যতত্ত্ব  ও উত্তর-ঔপনিবেশিক সমাজ’ কেন?